বিবাহ বিড়ম্বনা
অধিকাংশ অভিভাবকদের ধারনা তাদের সন্তানদের পক্ষে অভিভাবকদের চোখে ধুলো দেওয়া সম্ভব না।
বর্তমান সময়ে সন্তানেরা তাদের অভিভাবকদের চোখে শুধু ধুলোয় দিচ্ছে না, বরং অভিভাবকদের চোখের সামনে ধুলোর পাহাড় তৈরি করে রেখেছে।
কখনো জানার চেষ্টা করেছেন আপনার সন্তান আপনার অগোচরে কি করছে?
নাকি সব জেনেও না জানার অভিনয় করে যাচ্ছেন?
আপনার সন্তানের মোবাইলের ইনবক্সে বা ব্রাউজার এর হিস্ট্রিতে একবার তাকিয়ে দেখুন।
বাংলাদেশে একটা ছেলে ফিজিক্যালি সেক্সুয়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই বা তার আগেই।
মেয়েরা ১৫ এর আগেই।
সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেছি ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছর। কিন্তু সিস্টেম করে দিয়েছি আবার অন্য রকম। ছেলেদের চাকরির বয়স সীমা ৩২ বছর। গ্রাজুয়েশান শেষ করতে করতে বয়স হয়ে যায় ২৬/২৭ বছর।
গড় আয়ু যদি ৬৫ হয়- তাহলে ৩২ বছর বয়স পযর্ন্ত সে অন্যের টাকায় চলবে। এর পর স্বাবলম্বী হয়ে মানে জব পেয়ে বিয়ে করবে ৩২ এর পর।
যে ছেলেটা সেক্সুয়ালি এডাল্ট হইলো ১৭ তে। সে বিয়ে করলো আরো ১৫ বছর পর।
এই ১৫ বছর সে কি করবে?
পাড়ায় যাবে না? প্রেমিকাকে নিয়ে লিটনের ফ্লাটে যাবে না? পার্কের চিপায় প্রেমিকার শরীরে হাত দিবে না?
দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে পাথর বানিয়ে রাখবে?
কতটুকু পসিবল?
লজিক্যালি কতটুকু পসিবল?
বোথ ফর বয়েজ অ্যান্ড গার্লস?
এই দেশে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ না। কিন্তু মদ সহ ধরা পড়লে পুলিশ কে চা পানি খাওয়াইতে হয়।
এই দেশে পাড়া এলাউড, কিন্তু ধরা পড়লে আবার পুলিশ কে ঘুষ দিতে হয়।
একটা ছেলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে ১৭ বছরের আগের ক্ষুধা মিটানোর জন্য। যেহেতু আমরা জীব পাথর না। আমাদের ফিজিক্যাল চাহিদা আছে। তাই বলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে একটা ছেলে/মেয়ে ?
আপনি বা কেউ কি বিলিভ করেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে কেউ অপেক্ষা করে?
অপেক্ষা করে না দেখেই এই দেশে রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন লাগে।
মিরপুর মাজার রোডে ছোট ছোট খুপরি ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্ট লাগে।
পার্কে ছাতা ওয়ালা প্রাইভেসি লাগে। আমরা মেনে নিচ্ছি। শুধু ছেলে স্টাব্লিশড না হওয়া পযর্ন্ত বিয়ে মেনে নিতে পারতেছি না।
আপনি যদি এই দেশের সুপার সাকসেসফুল কোন বিজনেস ম্যান এর জিবনী পড়েন, দেখবেন তারা সাকসেসফুল হয়েছে অনেক পরে। অন্তত ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে। আপনি কি তত দিন অপেক্ষা করবেন?মেয়ে তাদের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ?
আমাদের পিতামাতাগণ সব কিছু ইসলাম অনুয়ায়ী করেন। কিন্তু এই বিষয়ে উনারা ইসলাম মানেন না। সেটা হইলো বিয়ে। পাত্র ভালো জব করে না দেখে উনারা বিয়ে দেন না।
সমাজ বলে আগে প্রতিষ্ঠিত হওতার পর বিয়ে কর! অথচ ইসলাম বলেছে সাবালক হইলেই বিয়ে দিয়ে দাও।
কুরআন বলে আগে বিয়ে করো,গরীব হলে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আল্লাহ্র!
" তোমাদের মধ্যে যারা ‘‘আইয়িম’’ (বিপত্নীক পুরুষ বা বিধবা মহিলা) তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দিবেন; আল্লাহতো প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।"
📝 -(সূরা নূর, আয়াত ৩২)
"বউ কে খাওয়াবি কি? "
এটা হচ্ছে আমাদের দেশের বিয়ের সব চেয়ে বড় বাঁধা।
পবিত্র কোরআন এর কিছু অংশ মানছেন আর কিছু অংশ বর্জন করছেন, এটাতো কোন আদর্শ মুসলিম এর পরিচয় হতে পারে না।
এটাই যদি করেন তাহলে ইহুদি, খ্রিস্টান আর আপনার মধ্যে পার্থক্য থাকছে কোথায়? কারন তারাও তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের জন্য বর্ণিত আসমানী কিতাব পরিবর্তন করে নিয়েছে।
বিসিএস দিয়ে ৩৩ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার পর বিয়ে করতে হবে ।
নিজের পায়ে ঠিক-ঠাক দাঁড়াতে দাঁড়াতে .....
এখন ভাবুন, বিয়ে অর্ধেক দ্বীন কেন!
অনেকেই বলবেন এটা বাস্তবতা, তাহলেতো ধর্মগ্রন্থকে অবাস্তবের স্বীকৃতি দেওয়া হলো, তাই নয় কি?
No comments